খাঁচা কোথায় রাখা উচিত
প্রত্যেকেই পাখি পোষেন সখে ,কেউ তার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে,গান শুনতে আবার কেউ ব্যবসার জন্য।যে যাই করুক না কেন পাখিকে রাখতে হবে খাঁচায় ।অর্থাৎ পাখি কিনে আনার আগেই বাড়িতে খাঁচার ব্যাবস্থা করে রাখতে হবে । পাখি পোষা এবং তার বাচ্চা পাওয়ার মধ্যে সত্যিই এক দারুণ সুন্দর আনন্দ আছে। খাঁচা কোথায় রাখা উচিত কোথায় রাখা উচিত নয় সেই সব নিয়ে অনেকে নানা কথা বলেন।তবে একটা কথা মনে রাখা দরকার খাঁচায় পাখি রেখে তাকে ভালো ভালো খাদ্য দিলেই পাখিটি যে সুস্থভাবে বেঁচে থাকবে তা কিন্তু নয়।তাই পাখির খাঁচাটিকে রাখার জন্য প্রয়োজন একটি আদর্শ পরিবেশের।এই আদর্শ পরিবেশে কিছু সুবিধা অসুবিধা ও আছে ।তাই খাঁচাটি কোথায় রাখা উচিত তা নিচে আলোচনা করা হল ।
(১) প্রথমেই মনে রাখতে হবে পাখির খাঁচাটিকে এমন ভাবে রাখতে হবে প্রকৃতির সঙ্গে তাঁদের সোজাসুজি বা Direct contact থাকে ।তা বলে এই নয় যে সূর্যের রশ্মি বা বৃষ্টি সোজাসুজি তাদের গায়ে সবসময় এসে পরে।এমন ভাবে ব্যবস্থা করতে হবে জাতে পাখিরা নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী আরামে থাকতে পারে।
(২)খাঁচাটি এমন জায়গায় রাখতে হবে যাতে সবসময় ভেতরের দূষিত হাওয়া বেরিয়ে গিয়ে বাইরের পরিষ্কার হাওয়া প্রবেশ করতে পারে। যেমন বাথরুম বা রান্নাঘরের পাশে খাঁচা রাখা কখনই উচিত নয় । কারণ রান্নার এবং বাথরুমের বিষাক্ত বাতাস পাখির প্রচুর ক্ষতি করে।
(৩)আবার অনেকে বারান্দায় পাখি পোষেন,খুব ভালো জায়গা পাখির পক্ষে,কিন্তু দেখে নিতে হবে যাতে সূর্য রশ্মি(sun rays)সোজাসুজি বেশীক্ষণ অর্থাৎ( ২ থেকে ৩ ঘণ্টার বেশী) খাঁচায় যেন না পড়ে ।আর এই সূর্যরশ্মি পাখির যে রোজ পছন্দ হবে তা কিন্তু নয় , তারজন্য খাঁচার একটি দাঁড়ার দিকে যাতে ভালোমতো ছায়া থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে,যাতে সে ছায়ায় গিয়ে বসতে পারে ।
(৪)প্রকৃতির হাওয়া বাতাস পাখির পক্ষে বিশেষ প্রয়োজন ।কিন্তু অতিরিক্ত হাওয়া বাতাস সারাদিন ধরে অসুবিধায় না ফেলে এবং প্রকৃতির পাখি যেমন কাক,চড়াই পাখির থেকে রক্ষা করতে পারে তারদিকে নজর দিতে হবে।কেননা এরা নানা ধরনের রোগ তো নিয়ে আসে আবার হঠাৎ করে খাঁচার ওপরে এসে বসে ফলে খাঁচায় থাকা পাখি আক্রমণের ভয় পেয়ে জায়।পাখিটি যাতে ভয় না পায় তাই সে দিকে ভীষণভাবে নজর দিতে হবে এইসব অসুবিধাগুলো তা না হলে আদরের ও ভালোবাসার এবং সখের পাখি বেশীদিন সুস্থ থাকতে পারবে না।তাই পাখির খাঁচাটিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জাইগায় রাখা উচিত।
(৫)আমরা যারা পাখি পুষি তাদের মধ্যে অনেকে পাখির জন্য আলাদা ঘর তৈরী করেন ,তাদের খাঁচা রাখার কোনও অসুবিধা হয় না বরং সুবিধাই হয়।কারণ পাখির জন্য ঘর তৈরী করলে তা সবদিক বিবেচনা করেই করা হয়।
(৬)ঘরের আয়তন অনুযায়ী খাঁচার ওপর খাঁচা রেখে বা লম্বায় একই কাঠামোয় অনেকগুলো খোপ করে সুবিধা মতো সাজানো যেতে পারে।আবার একেবারেই বন্ধ ঘরে খাঁচাটি রাখা উচিত নয়,কারন তারা প্রকৃতির থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে ফলে সেখানে হাওয়া বাতাস কোনকিছুই প্রবেশ করতে পারবে না।তাই যেখানে হাওয়া বাতাস থাকবে সেখানেই খাঁচা রাখা উচিত ।
(৭)এমন জায়গায় খাঁচাটি রাখতে হবে যেখানে সবসময়ে বাইরের কোন ব্যক্তি যাতে পাখির ঘরে ঢুকতে না পারে ,সর্বোপরি পাখির খাঁচাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জায়গায় রাখা উচিত এবং পাখির ঘরের ভেতরে যাতে বাইরের বাতাস ঢুকে ঘরের আবহাওয়া সুন্দর রাখে তার দিকে নজর রেখে খাঁচাটিকে সেইস্থানে রাখা উচিত ।
(৮)পাখির যাতে ক্ষতি না হয় এমন যে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে টিকটিকি,ইন্দুর,মাছি পোকা প্রভৃতির থেকে দূরে রাখতে হবে খাঁচাটিকে।কারণ এরা নানা ধরণের রোগের জীবাণু বহন করে অথচ তাদের কিছুই হয় না ।কিন্তু এদের সংস্পর্শে এলে খাঁচায় রাখা পাখির মারাত্মক রোগ হতে পারে।সেই কারণেই এদের খাঁচার মধ্যে ঢোকা বা কাছে আসাকে যে করেই হোক বন্ধ করতে হবে এবং খাঁচাটিকে একটি পরিষ্কার জায়গায় রাখতে হবে।
ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলো।
ReplyDelete# Cleaning Services in Dhaka
"Having a pet teaches us important lessons about responsibility and empathy." Does Simparica Kill Flea Eggs
ReplyDelete