Wednesday 18 April 2018

The important thing for pet birds

Many people in our country see the birds of a foreign cage awake. I think we can keep these cages in the house at the same time, and we can enjoy and enjoy beauty. Again, many will think in commercial ways that a business can be started in a small capital. There is no problem at all. It is possible to do everything if you want to. It's really great to have a bird pet and get her baby at home. All foreign-born birds are sold in cages throughout India. But remember this and everyone should be proud and proud of the birth rate of the foreign cage bird in the whole of India. But a couple of things must be kept in mind that what should be done during the time of birds, which results in good results. They are discussed below

2. Whether or not the bird can get enough time to clean the bird's whole day and during that time it is possible to complete the bird care.

3. Bird care means 7 days a week, 30 days a month, and 365 days in a year.

4. It is not possible at all, there are birds in the house, but all of them will visit the house for 3-4 days. Besides, if the bird has more food and water, then it can be thought that any accidents can happen or the birds eating dirty food and water can be sick or even the bird may die.

5. Before eating the bird, it is best to wash hands before eating it. Even in my opinion, it should be clean if there is dirt on the big nails. Besides, it is not fair to go to the bird after the street shoes.

6. Never wash the bird's dishes, and should be washed thoroughly with a salt of clean water in a clean wash of water. Because soap is not good for bird's stomach.

7.Tea, coffee, chocolate, milk, oily or spicy foods should not be given at all.

8. Blitching powder, pesticides, and pesticides should not be used in the area around the cage.

9. If there is a bird in the past, then the bird should be kept in a separate place. Keeping this observation is called Quarantine.

10. The bird should be kept in a place where the bird is not very afraid and disturbed.

11. At the time of the birds, the cage must be kept in the grid.

12. Do not put a cage beside the kitchen or bathroom, because the toxic air in the kitchen and bathroom will cause lots of damage to the bird. Many people love to keep birds in the verandah. The very best place is for the bird. However, one should remember that sun-rays are not straightforward, ie they do not have cages for 2-3 hours.

13. Another important thing is that the whole cage does not have enough air throughout the day. Nature is a special requirement for birds of the air. But due to excessive winds, the bird was inconvenienced

14. The birds should not be kept in closed houses at all. Because the bird will be completely cut off from nature.

15. If the bird is clean and where the plants are high, then the birds will get good results.

16. At the time of wearing birds, one should keep in mind that the cage should be kept in the house inside the bird's house, keeping the weather outside beautiful and keeping the weather clean.


The bird or bird that is less in number, it is possible to see the birds better. But, to whom the birds are not able to see the birds better than their number, they are often heard. Do not leave my special request only with the good food of the birds, stay with them a little and see them in their own way. One more thing to remember is that if there is no time for birds to wear, do not keep more birds. If you put them in the right place, you can give them a little time in addition to feeding them as much as possible.




Tuesday 17 April 2018

পাখি প্রজননের নানা সমস্যা

আমরা প্রত্যেকেই পাখি পুষি সখে কিংবা নেশায়। এই পাখি পোষার পর অনেকেই উৎসাহিত হয়ে পাখির বাচ্চার তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন।আবার অনেকে ব্যবসা ও বাণিজ্যের ভিত্তিতে বাচ্চা তোলার জন্য চেষ্টা করেন। শুধু পাখির বাচ্চা পাওয়ার জন্য কেবল উৎসাহী হলেই চলবে না যিনি যে পাখির বাচ্চা তুলতে আগ্রহী সেই পাখির সম্বন্ধে জানতে হবে। সে কি খায়কি খেতে ভালবাসেকি রকম খাঁচায় থাকে ইত্যাদি এই সমস্ত কিছু জানার পরও দেখা যায় পাখির প্রজননে নানা সমস্যা। সমস্যাগুলি হল সাধারনতঃ 


(ক) পাখি মিলিত (mate) হচ্ছে না :
 (১) জোড়া পাখি দুটির মধ্যে দুজনেই কম বয়সের অর্থাৎ ডিম পাড়ার জন্য উপযুক্ত বয়স নয় অর্থাৎ পাখি দুটি adult নয়।
(২) পাখি দুটির মধ্যে দুজনেরই বয়স বেশী।
(৩) পাখি দুটি সঠিক জোড়া নয় অর্থাৎ মাদা পাখি নয়।
(৪) অত্যাধিক ভয় পাচ্ছে বা কোনভাবে বিরক্ত হচ্ছে।
(৫) স্নায়ুতন্ত্রের (nervous system) গণ্ডগোল এবং (৬) প্রজননের জন্য সঠিক পরিবেশ না হলে অর্থাৎ খাঁচা পাখির তুলনায় ছোট ও আলো কম থাকলে এবং তাপমাত্রার অত্যাধিক ওঠানামা বা ভীষণ ঠাণ্ডা বা গরম হলে পাখি মিলিত হয় না ।
(খ) মিলিত হচ্ছে অথচ ডিম পাড়ছে না : মাদা পাখির জননেন্দ্রিয়র (reproductive) কোন গণ্ডগোল থাকলে বা ডিম আটকে গেলে প্রজননের নানা সমস্যা দেখা যায়।
(২) জোড়া পাখি দুটির মধ্যে দুজনের বয়স যদি কম হয় অর্থাৎ পাখি দুটি adult না হলে ।
(৩) ঠিকমতো খাবার না দেওয়ার ফলে অপুষ্টিতে ভুগছে বা পাখিটির শরীরে fat হওয়ার ফলে ডিম পাড়ছে না ।
(গ) ডিম অনুর্বর (infertile)হচ্ছে : (১) জোড়ায় নর পাখি না থাকলে অনেক সময় অনভিজ্ঞতার জন্য নর-মাদার স্থানে দুটি মাদা পাখি থাকলেও ডিম পাড়ে।কিন্তু সেই ডিম সবসময়েই অনুর্বর হয়।
(২) বেশী মাত্রায় বা অনেকদিন ধরে কোন ওষুধ খাওয়ালে 
(৩) স্নায়ুতন্ত্রের গণ্ডগোল থাকলে ডিম অনুর্বর হয়।এবং (৪) খুব বেশী করে ডিম পাড়লে।   
(ঘ) উর্বর ডিম (fertile)কিন্তু বাচ্চা বড় হচ্ছে না : ডিম উর্বর হলেও অনেক সময় দেখা যায় ডিমের ভেতরে বাচ্চা ঠিকমতো বেড়ে ওঠে না কারণ (১)যে পাখি ডিমে তা (incubating) দিচ্ছে সে যদি তার মালিক কিংবা বেড়াল ইঁদুর বা বড় অন্য কোন পাখির দ্বারা বিরক্ত হয় তাহলে বাচ্চা ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারে না ।
(২) খাঁচার চারিদিকে খুব বেশী আওয়াজ হলে।
(৩) ডিমে ঠিকমতো তা না দেওয়ায়  ডিম ঠাণ্ডা হয়ে যায় ।
(৪) ডিমের খোলা ভেঙে গেলে অর্থাৎ পাখির নখের দ্বারা ছোটো ফুটো বা চুলের মত চির ধরে গেলে বাচ্চা বেড়ে ওঠে না । এছাড়াও (৫) নর-মাদার কাছ থেকে আসা সংক্রামক রোগ ভ্রূণকে মেরে ফেলে ।
(ঙ) ডিম ভেঙে দিচ্ছে/ খেয়ে নিচ্ছে   :    ডিম ভেঙে দেওয়ার অন্যতম কারণ হল অত্যাধিক পরিমাণে পাখিটি  বিরক্ত বোধ করলে ।
(চ) পচা ডিম  :  ডিম পচে যাওয়ার অনেক কারণ হতে পারে ।যেমন -  অনুর্বর ডিম যদি পাখি তা (incubating) দেয় তাহলে সেই তা এর তাপমাত্রায় (uncubating temperature )বা সংক্রামক ব্যাধিতে ডিম পচে যেতে পারে । আবার মাদা পাখি ঠিকমতো তা না দিলে ডিমের খোলায় চিড় ধরলেও উর্বর ডিমে ভ্রূণ মরে গিয়ে পচে যেতে পারে ।  
   (ছ) বাচ্চা ডিমের মধ্যে মরে যাচ্ছে   :   মাদা পাখি  ডিমে ঠিকমতো তা না দেওয়ার ফলে ডিম ঠাণ্ডা হয়ে যায় এবং ডিমের খোলায় চিড় ধরায় উর্বর ডিমে ভ্রূণ মরে যায়। এছাড়া আদ্রর্তা (humidity) কমে গেলেও ডিমের মধ্যে ভ্রূণ বা বাচ্চাটি মারা যায় ।  
(জ) বাচ্চা ডিম ভেঙে বেরোতে পারছে না :    অনেক সময় লক্ষ্য করলে দেখা যায় বাচ্চা ডিম ভেঙে বেরোতে পারছে না তার কারণ হল (১) বাচ্চাটি যদি অপুষ্টিজনিত বা কোন বংশগত কারণে দুর্বল হলে । (২) ডিমের খোলা সাধারণের তুলনায় মোটা হলে ।
(৩) তাপমাত্রা খুব বেশী কমে গেলে এবং
(৪) আর্দ্রতা কমে গেলে ।
 (ঝ) দুর্বল বাচ্চা ছোট বেলাতেই মারা যাচ্ছে :  (১)  বাসায় বাচ্চা থাকা অবস্থায় নর মাদা অত্যাধিক বিরক্ত হলে বাচ্চা দুর্বল হয়ে পড়ে ফলে বাচ্চা মারা যায় ।
(২) বাচ্চার উপযোগী খাবার না দিলে এবং (৩) সংক্রামক ব্যাধি হলে বাচ্চা দুর্বল হয়ে পরে ফলে তার মৃত্যু হয় ।  
     তাই পক্ষিপালক বন্ধুরা যে কারণেই পাখি পুষুক না কেন একটি সুস্থ সবল পাখির বাচ্চা পেতে গেলে উপরিউক্ত সমস্যা গুলি যাতে না হয় তারজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ।

Monday 16 April 2018

স্টার ফিঞ্চ খাবার-নর ও মাদা পাখি চেনার উপায় -প্রজনন


অস্ট্রেলিয়ার ফিঞ্চ জাতীয় পাখির মধ্যে অন্যতম হল স্টার ফিঞ্চ । এর বিজ্ঞানসম্মত নাম Poephila ruficauda   এই পাখি দেখতে সব পাখির থেকে একদম আলাদা । এদের শ্যাওলা রঙের সারা শরীরের মধ্যে উজ্জ্বল গাঢ় লাল ঠোঁট ও মাথা এবং লাল রঙের লেজের জন্য এরা সারা বিশ্বে এক জনপ্রিয় স্থান অর্জন করে রয়েছে ।মাথা থেকে শুরু করে বুকের বেশ কিছুটা অংশে সাদা রঙের ছোট ছোট তারার মত দাগ থাকার জন্য এরা স্টার ফিঞ্চ নামে পরিচিত ।

খাবার প্রথমেই বলে রাখি এই ফিঞ্চ জাতীয় পাখির অন্যান্য ফিঞ্চ জাতীয় পাখির মতই এই পাখির  খাঁচায় গ্রীট অবশ্যই রাখা দরকার । পাখিকে সুস্থ ও সবল রাখার জন্য পাখিকে প্রোটিন , ভিটামিন , মিনারেল এর সাথে সাথে ক্যালসিয়াম , ফসফরাস থাকে যে সমস্ত খাদ্যে সেই রকম খাবার পাখিকে অবশ্যই দিতে হবে । অঙ্কুরিত শস্য দানার সাথে সাথে কিছু সবুজ শাক -সব্জি এবং সহজেই হজম করতে পারে তার জন্য সন্ধব নুন বা হাল্কা কাঠকয়লার টুকরো রেখে দেওয়া উচিত । মানুষের জন্য দুধকে যেমন পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে বলা হয় ঠিক তেমনি পাখির ক্ষেত্রে ডিম কে অন্যতম খাদ্য বলা হয় । পাখির বাচ্চা ও পাখি কে অল্প পরিমাণে ভাতের সঙ্গে ডিম সিদ্ধ সপ্তাহে ৪ দিন দেওয়া উচিত । এছাড়া  পাখির সুস্থ শরীরের প্রয়োজন মত ক্যালসিয়াম পায় তার জন্য খাঁচায় সমুদ্রের ফেনার টুকরো খাঁচায় রাখা দরকার । কেননা সমুদ্রের ফেনায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে ।

নর ও মাদা পাখি চেনার উপায়  : ১। মাদা পাখির মাথায় লাল রঙ অনেক হাল্কা হয় এবং ঠোঁটের রঙ লাল হয় না । কিন্তু নর পাখির মাথা ও ঠোঁটের রঙ গাঢ় লাল হয় ।
২। বাচ্চা স্টার ফিঞ্চের  পালকের রঙ শ্যাওলা এবং ঠোঁট কালো হয় । কিন্তু পরিণত (adult) পাখির মাথা , ঠোঁট ও লেজের রঙ গাঢ় লাল হয় এবং গায়ে তারার মত ছোট ছোট দাগ দেখা যায় ।
৩। ৪ মাস বয়সের পর থেকে এদের ধীরে ধীরে রঙ এর পরিবর্তন হতে শুরু করে এবং ৬ মাস বয়সে পরিণত পাখির মত দেখতে লাগে ।
প্রজনন  :  জেব্রা ফিঞ্চ বা বেঙ্গলিস বার্ডের মত এদের প্রজনন ততটা সহজ নয় । স্টার ফিঞ্চ এদের মত সুন্দর বাসা বানাতে না পারলেও বাঁশের তৈরী ঝুড়িতে ঘাস বা নারকেলের ছোবড়ার টুকরো দিয়ে বাসা বানায় । বাসা বানানো শেষ হলে মাদা পাখি ওই বাসায় ৫ থেকে ৬ টি ডিম পাড়ে । তবে অনেকসময় স্টার ফিঞ্চ ডিমে ভাল করে তা দেয় না ফলে স্টার ফিঞ্চ এর সাথে সাথে কিছু বেঙ্গলিস বার্ড ও রাখা প্রয়োজন ।কারণ স্টার ফিঞ্চ ডিম দেওয়া শেষ করলে সব ডিমগুলো বেঙ্গলিস বার্ড যেখানে ডিমে তা দেয় সেইখানে রেখে দেওয়া হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে স্টার ফিঞ্চের ঝুড়ি খুলে ফেলে দেওয়া উচিত । ১৩ থেকে ১৪ দিনের মাথায় স্টার ফিঞ্চের ডিম গুলি থেকে বাচ্চা ফোটে এবং ২২ থেকে ২৪ দিনে বাচ্চা বাসা থেকে বেড়িয়ে পড়ে । এই ভাবেই স্টার ফিঞ্চ পাখির প্রজনন করানো হয় এবং সুস্থ বাচ্চার জন্ম দেয় ।  

Thursday 12 April 2018

পাখির শরীরে পোকা দূর করার উপায়

1_পাখি খাঁচা থেকে সরিয়ে ভালোভাবে জল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে এরপর নিমপাতা সিদ্ধ জল দিয়ে আরেকবার ভালো করে ধুয়ে কড়া রোদে শুকাতে হবে . 
পাখির বাসন কখনই সাবান জলে ধোয়া উচিত নয়। কেননা সাবান পাখির পেটে পক্ষে ভাল নয়। পরিষ্কার গরম জলে নুন নিমপাতা সিদ্ধ দিয়ে খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।




2_পাখিদের নিমের  দ্রবন জলে চান করতে দিতে হবে গ্রীষ্মকালে স্নানের জন্য পাত্র দিতে হবে 1-2 দিন পর পর এবং শীতকালে সপ্তাহে দুবার। জলের পাত্র পাত্র টি অবশ্যই পাখির দেহের আকার এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে, বেশী বড় না আবার বেশি ছোট না । স্নান করার জল সকাল 10 টা থেকে 11 টার মধ্যে খাঁচায় রাখতে হবে, এবং দু'ঘন্টা পর এ খাঁচা থেকে বের করে ফেলতে হবে। যদিও পাখির উপর জলের স্প্রে করে স্নান করানো যায় কিন্তু পাত্রে স্নান করানো  ভালো। কারণ এতে তারা নিজেদের ইচ্ছামত এবং প্রয়োজনমতো স্নান সেরে নিতে পারবে। পোকা দূর করতে নিমের দ্রবন দিয়ে একটানা 7 থেকে 10 দিন স্নান করাবেন ।


3_পাখির খাঁচায় বসার লাঠি পরিবর্তন করে তাজা নিমের কাণ্ড বা ডাল  ব্যবহার করতে হবে। নিমের ডাল জীবানুনাশক বা পোকা নাশক হিসেবে কাজ করে, পাখি চামড়া, পালক ও ঠোট সুস্থ রাখে, পাখির বুঝতে সুবিধা হয় আর শীতকালে পাখি শরীর গরম রাখে breedingসময় mating সফল হয়।


4_একটানা 7 দিন তাজা নিমের ডাল পাতা সহ খেতে দিন। সাধারণ অবস্থায় সপ্তাহে একদিন খেতে দিন।

5_পাখির খাবার জল প্রত্যেকদিন সকালে একবার এবং সন্ধ্যায় একবার বদলে দিতে হবে


6_পাখিকে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং সূর্যালোক ও বায়ু চলাচলের সুব্যবস্থা আছে এমন জায়গায় রাখবেন। পাখির খাঁচা যেখানে থাকে সেই জায়গাটিতে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে

7_উপরিউক্ত পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ নিরাময় না হলে ব্যবহার করতে পারেন anti parasite

Wednesday 11 April 2018

পাখির প্রজনন-পাখির বাচ্চা বাড়ীতে পেতে কতকগুলি জিনিস জেনে রাখা প্রয়োজন


পাখি পোষা এবং বাড়ীতে তার বাচ্চা পাওয়ার মধ্যে সত্যিই এক দারুণ ও সুন্দর আনন্দ আছে । সারা ভারতবর্ষ জুড়ে খাঁচায় প্রজনন করা, বিদেশী পাখি কেনা বেচা হয় । কিন্তু একথা সকলের মনে রাখা উচিত এবং গর্ব করা উচিত যে বিদেশী খাঁচার পাখির বাচ্চার জন্মের হার সারা ভারতবর্ষের মধ্যে প্রথম । এই পাখির ডাক শুনতে শুনতে প্রায় প্রত্যেকেই এমন একটা সময়ে এসে উপস্থিত হন যে , এই সুন্দর পাখির যদি বাচ্চা হত তাহলে কি ভালই না হত । কিন্তু কি করে এই কল্পনা বাস্তবে পরিণত হবে ? নানা প্রশ্ন জাগে সকলের মনে । চলে নানান ধরণের পরিকল্পনা । পাখির বাচ্চা বাড়ীতে পেতে গেলে কতকগুলি জিনিস আমাদের মনে রাখা বা জেনে রাখা প্রয়োজন । যেমন –

  ১। সুস্থ পাখি কেনা
২। পাখি দুটি জোড়া অর্থাৎ ছেলে male এবং মেয়ে female আছে কিনা ।
৩। প্রজননের (breeding ) জন্য খাঁচার মাপ ।
। সঠিক খাবার
৫। ডিম পাড়ার জন্য বাসা ।
৬। সঠিক বয়স নির্বাচন । এবং
৭। সঠিক সময় নির্বাচন ।                
১। সুস্থ পাখি কেনা    কি করে বুঝব পাখিটি সুস্থ কিনা । প্রথমেই দেখতে হবে পালক ফুলিয়ে আছে কিনা । এরপর তার কাছে গিয়ে দেখতে হবে নাক বা চোখের পালক ভেজা আছে কিনা । ভেজা থাকলে বুঝতে হবে পাখিটি অসুস্থ । এরপর দেখা উচিত পাখির ঠোঁট ও নখ । যদি ঠোঁট ও নখ ছোট বড় বা বাঁকা হয় তাহলে তা পাখিটি অসুস্থ বলে মনে হয় । আবার অনেক সময় পাখির গায়ের কোন অংশে পালক না থাকা অবশ্য বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তা ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায় । এত কিছু লক্ষ করে তবেই পাখি কেনা উচিত ।
২। পাখি দুটি জোড়া অর্থাৎ ছেলে (male)  এবং মেয়ে  (female) আছে কিনা   পাখির জোড়া নির্বাচন করা খুবই কঠিন ব্যাপার । সাধারণত: আমাদের পাখি কেনা উচিত কম বয়সের । কারণ পাখি নতুন জায়গায় এসে প্রথম প্রথম ভয় পায় । ভয় পেয়ে থাকলে তারা কোন ভাবেই প্রজনন করবে না । এমনকি অসুস্থ হয়েও পড়তে পারে । অভিজ্ঞ পক্ষিপালকরা তাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী অতি সহজেই এই কাজ সমাধান করে থাকেন । যেমন –
   (ক) সাধারণত: যে কোন প্রজাতির পাখির ছেলে পাখির মাথা মেয়ে পাখির থেকে সামান্য হলেও বড় হয় ।  
 (খ)দাঁড়ে বসা অবস্থায় সামনে থেকে পায়ের অবস্থান দেখলে দেখা যায় মেয়ে পাখির দুটি পায়ের মধ্যেকার ফাঁক ছেলে পাখির থেকে সামান্য বেশী থাকে ।
এই হল সাধারণভাবে দেখে পাখি ছেলে না মেয়ে চেনা এছাড়া পাখির প্রজাতি অনুসারে নানারকম ভাবে ছেলে , মেয়ে , বোঝা যায় । যেমন – জেব্রা ও ফিঞ্চ পাখির জন্য পুরুষ পাখির ঠোঁট ও পায়ের রং মেয়ে পাখির চেয়ে অনেক গাঢ় হয় ।
(গ) বদরী পাখির ঠোঁটের ওপরে নাকের অংশের রং হয় নীলচে , অন্যদিকে মেয়ে পাখির রঙ হয় খয়েরি । 
(ঘ) ককটেল পাখি ছেলের ক্ষেত্রে পাখির গালের পাশে দাগ অনেক গাঢ় হয় মেয়ে পাখির থেকে । এবং
(ঙ) কিন্তু আটকে যেতে হয় বেঙ্গলি ফিঞ্চ এবং লাভ বার্ডের ক্ষেত্রে । কেননা শারীরিক দিক থেকে গঠন বা পালকের রং দেখে এদের বোঝা প্রায় অসম্ভব যে কোনটা ছেলে আর কোনটা মেয়ে পাখি ।

৩। প্রজননের জন্য খাঁচার মাপ পাখি অনুসারে খাঁচার মাপ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের মাপ পরিবর্তন করা হয়ে থাকে । তবে পাখির প্রজননের জন্য খাঁচাটির আকার বিভিন্ন হলেও আয়তকার খাঁচাই বেশী প্রয়োজন । যেমন –
পাখির নাম                    প্রজননের সময়          সাধারণ সময়
(ক)বদরী                     ২০’’×১৫’’×১৫’’                         ২৪’’×১৫’’×১৫’’
(খ) জেব্রা ফিঞ্চ            ১৮’’×১২’’×১২’’                   ২০’’×১৪’’×১৪’’
(গ)বেঙ্গলি                  ১৮’’×১২’’×১২’’                                     ২৪’’×১৫’’×১৫’’
(ঘ লাভ বার্ড               ২৪’’×১৮’’×১৮’’                                   ৩০’’×১৮’’×২৪’’
(ঙ) ককটেল                ১৮’’×২৪’’×২৪’’                  ৩৬’’×১৮’’×২৪’’
(চ) স্টারফিঞ্চ                 ১২ ‘’×২৫’’×১৫’’                       ২৪’’×১৫’’×১৮’’
৪। ডিম পাড়ার জন্য বাসা খাঁচায় পাখির জোড়া নির্বাচন করার পর এরপর প্রয়োজন হয়ে পড়ে ডিম পাড়ার জন্য জায়গা বা বাসা । পাখিদের একটি পরিষ্কার পরিছন্ন এবং  সুরক্ষিত জায়গায় রাখতে হবে, যেখানে পাখিটি অনায়াসে ভয় না পায় এবং বিরক্ত না হয়ে ডিমে তা দিয়ে নিশ্চিন্তে তার বাচ্চাদের বড় করতে পারবে । কেননা পাখিদের ও নানান পছন্দ ও অপছন্দও আছে । নানান পাখির নানান চাহিদা কেউ চায় বাঁশ বা বেতের সমান ঝুড়ি আবার কেউ কাঠের বাক্স বা মাটির তৈরী হাঁড়ি চায় । যেমন-
   পাখির নাম                     বাসা
(ক) জেব্রা ফিঞ্চ               বেত বা বাঁশের তৈরী ঝুড়ি অথবা কাঠের বাক্স                                   (৫’’×’’×’’)
(খ) বেঙ্গলি                         ,,
(গ)গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ                    ,,
(ঘ) বদরী পাখি               মাঝারি সাইজের মাটির হাঁড়ি বা কাঠের বাক্স ।(ঙ) ককটেল                  বড় মাটির হাঁড়ি বা কাঠের বাক্স ।
(চ) লাভবার্ড                 বদরী পাখির থেকে সামান্য বড় হাঁড়ি বা কাঠের                             বাক্স ।
(ছ) জাভা                   বদরী পাখির মাপের হাঁড়ি তবে একটু লম্বাটে হলে                             ভাল হয় ।
     উপরে যে সমস্ত পাখির কথা উল্লেখ করা হল তার মধ্যে বদরী এবং ককটেল ছাড়া সব পাখির বাসা তৈরীর জন্য কিছু না কিছু প্রয়োজন হয় । যেমন ফিঞ্চ গোত্রের পাখির বেঙ্গলি এবং জাভার বাসা তৈরীর জন্য নারকেল ছোবড়া বা শুকনো ঘাস ব্যবহার করা ভাল । তবে কোনটাই যেন ১/২’’-২’’ বেশী না হয় এবং জাভা পাখির জন্য খেজুর পাতার তৈরী ঝাঁটা ২’’মত কেটে দিলে ভাল হয় । এছাড়া লাভবার্ডের ক্ষেত্রে পাতলা প্লাই এর টুকরো বা আখের ছিবড়ে ব্যবহার করা হয়।







৫। সঠিক খাবার  পাখিকে শস্যদানার সাথে সাথে সুষম খাদ্য দেওয়া অতি আবশ্যক । এই সুষম খাদ্যে ভিটামিন , প্রোটিন এবং মিনারেলস সমান ভাগে থাকে । যদি পাখিটিকে প্রজনন করার জন্য তৈরী করতে হয় তাহলে পাখির শরীরে যা যা প্রয়োজন হয় তা পাখির সাধারণ অবস্থায় সুস্থভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে একটু আলাদা । কারণ পাখি যখন (fertile) ডিম পাড়তে সক্ষম হয় তখন নর এবং মাদা পাখি দুটি শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে । অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট , ফ্যাট , প্রোটিন থেকে শুরু করে সমস্ত ভিটামিন এবং মিনারেলস বিশেষ করে calcium সঠিক মাত্রায় তার শরীরে যেন অবশ্যই থাকে । প্রকৃতির পাখিরা প্রজননের সময়ে নিজেরাই তাদের সঠিক খাবার সরবরাহ করে নিতে পারে । কিন্তু আমাদের খাঁচায় পোষা পাখিদের একটু বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রেখে তাদের প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করতে হবে । এছাড়া পাখি যখন প্রজনন করা হবে তার ১ মাস আগে সুষম খাবারের সাথে সাথে deworming  বা ক্রিমির ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে । Deworming  করার পর তাদের ৫-৭ দিন পর পর  Fat  soluble vitamins এবং calcium  ১-২ দিন বাদে দিতে হবে পাখিকে ।
                     আশাকরি পক্ষিপালক বন্ধুরা উপরিউক্ত পাখির প্রজননের যে সমস্ত জিনিস ও ধারণাগুলি আলোচনা করা হল সেই সমস্ত কিছুই মনে রেখে মেনে চললেই কোন অসুবিধা হবে না 

Tuesday 10 April 2018

পাখির বাসায় বাচ্চা মরার কারণ ও তার প্রতিকার

পাখি পোষা এবং বাড়ীতে খাঁচায় তার বাচ্চা পাওয়ার মধ্যে সত্যিই একটা দারুণ সুন্দর আনন্দ আছে । অনেকে শখে বাচ্চা তোলেন অনেকে আবার ব্যবসার জন্য বাচ্চা তোলেন । সে যে যাই উদ্দেশ্যে বাচ্চা তুলেন না কেন মনের আশা পরিপূর্ণ হয় তখনই যখন ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বড় হয়ে বাসা থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে । কিন্তু এই সময়ের মধ্যে অনেক সময়ে নানা দুর্ঘটনা ঘটে । ডিম থেকে বেরোনোর পর নিজে খেতে শেখা পর্যন্ত অনেকসময় বাচ্চা মারা যায়। সত্যিই একটা দুঃখ জনক ব্যাপার । ভাল খাবার দিয়ে পরিষ্কার রেখে যত্ন করার পরও যদি এরকম ঘটনা ঘটে তাহলে সত্যিই দুঃখ জনক । এই সব কিছুই হবে না যদি একটু ভাল করে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা ও একটু আলোচনা করা জায়। অবশ্য আমাদের দেশে আলোচনা করার মত লোকের অভাব থাকলেও কিছু ব্যক্তি এমনও আছেন যারা গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করেন এবং ভাল কিছু করার জন্য এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন । এমন কিছু আলোচনার ফল এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার পর নিজে খেতে শেখার আগে পর্যন্ত মারা যাবার কারণ ও তার প্রতিকারগুলি নিচে আলোচনা করা হল –

   ১। Genetic কারণে বাচ্চার দুর্বলতার কারণে ডিম ফুটে ২-১ দিনের মধ্যে বাচ্চার মৃত্যু হয় । এই কারণ খুবই কম দেখা যায় । এর একমাত্র প্রতিকার হল সেই পাখির জোড়াটিকে পাল্টে দেওয়া ।
২। বাচ্চার জন্য দেওয়া নরম খাবার পচে গিয়ে বা দানা ভিজে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেলে তা বাচ্চার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় । বয়স্ক পাখি মা-বাবার  ক্ষতি না হলেও বাচ্চার ভীষণ ক্ষতি হয় । সবসময়ে খুব ভাল করে দেখে খাবার দেওয়া উচিত এবং পড়ে থাকা নরম খাবার ৪-৫ঘণ্টার পর বের করে নেওয়া উচিত ।
৩। প্রজননের জন্য দেওয়া বাসা পরিষ্কার করার সময় বা বাচ্চাকে ঠিকমত খাইয়েছে কিনা তা দেখা দরকার । বাসা থেকে খুব ছোট বাচ্চাকে বাইরে বেশীক্ষণ রেখে দিলে বাচ্চা ঠাণ্ডা হয়ে পরে মারা যেতে পারে । তাই প্রথমত: খাঁচা থেকে বাচ্চা বের করার সময় হাত একটু গরম করে নিতে হবে এবং খুব তাড়াতাড়ি কাজ সেরে বাচ্চাকে খাঁচায় রেখে দিতে হবে ।
৪। বাচ্চার পায়খানায় অনেক সময় খাঁচায় বা বাসার ভেতরে ভিজে থাকে । এই ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে বাচ্চার ঠাণ্ডা লাগার সম্ভবনা থাকে প্রচুর এবং এত ছোট বাচ্চার ঠাণ্ডা লেগে গেলে তার মৃত্যু অনিবার্য । যে কারণেই মাঝে মাঝেই বাসা ভালকরে পরিষ্কার করে দেওয়া উচিত ।

৫। আবার অনেকসময় দেখা যায় সদ্যজাত বাচ্চার খাদ্য থলিতে আস্ত দানা যা পাখির বাচ্চার পক্ষে হজম করা সম্ভব নয় এবং ফলস্বরুপ বাচ্চার মৃত্যু ঘটে । এটা বেশীরভাগ সময়ই অনভিজ্ঞ পাখি মা-বাবার জন্য হয়ে থাকে । প্রথমবার বাচ্চা  হওয়ায় তারা বুঝতে পারে না বাচ্চাকে কিভাবে খাওয়াতে হবে। এই অবস্থা থেকে বাচ্চাকে বাঁচাবার সহজতম উপায় হল অন্য কোন বাসায় যেখানে সমান বয়সী বাচ্চা আছে সেখানে রেখে দেওয়া । অথবা সেই অনভিজ্ঞ মা-বাবার কাছে রেখে তাদের কাছ থেকে দানা সরিয়ে নিয়ে সারাদিন অন্তত ৪-৫ বার নরম খাবার দেওয়া উচিত । বাচ্চার বয়স যদি ৪-৫ দিন হয় তাহলে তখন ধীরে ধীরে অল্প করে দানা শস্য দিলেও  বদ হজম হয়ে মারা যাওয়ার ভয় থাকবে না ।

৬। অনেকসময়ে দেখা যায় সদ্যজাত বাচ্চা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যেতে । এর কারণ হল সাধারণত: বাসায় যখন কেবলমাত্র একটি বাচ্চা থাকে তখন মা-বাবার চাপে বাচ্চা নিশ্বাস নিতে পারে না । আবার অনেকসময় দেখা যায় কোন বাসায় একটি মাত্র ডিম fertile হয়েছে তখন  বাচ্চা ফুটে ৩-৪ দিন বয়স হওয়ার আগে অন্য unfertile ডিম বের করে নেওয়া উচিত নয় ।

৭। আবার বাচ্চা যদি ৩-৪ দিন বয়স হওয়ার পর খারাপ ডিম ফেলে দেওয়া উচিত তা না হলে সেই fertile ডিম বা সদ্যজাত বাচ্চা অন্য বাসায় যেখানে আরও আছে সেখানে রেখে দেওয়া উচিত ।
৮। অনেকসময় দেখা যায় সদ্যজাত বাচ্চাকে না খাওয়াবার ফলে মারা যাচ্ছে । এর পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে যেমন-(ক) পাখির মা-বাবার বয়স ঠিক না হলে তারা বুঝতে পারে না ঠিক কি করা উচিত বা কোনটা উচিত নয় ।(খ) মা পাখির বাচ্চা ফোটার সময়ে সুস্থ না থাকলে ।এবং(গ) পাখির জাত অনুযায়ী বাচ্চা জন্মানোর প্রথম ২-৪ দিন অবধি পাখিকেই বেশী খাওয়াতে দেখা যায় । সবশেষে আরও একটি অন্যতম কারণ হিসেবে বলা যায় যে
৯। বাচ্চার খাদ্য থলিতে খাবার কম অথচ হাওয়া ভর্তি ।এটা ভুলভাবে খাওয়ানোর ফলে হয় । খুব ধীরে ধীরে খাদ্য থলিতে চাপ দিলে হাওয়া বেরিয়ে যাবে । এছাড়া আরও একটি ভাল উপায় হল সবচেয়ে সরু ইনজেকশন এর ছুঁচ  দিয়ে হাওয়া থলিকে ফুটো করে হাওয়া বের করে দেওয়া ।
    আশাকরি এইভাবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলেই বাসায় পাখির বাচ্চার যে ক্ষতি অর্থাৎ বাসায় বাচ্চা মারা যায় তা রোধ করা সম্ভব

Saturday 7 April 2018

লং টেলড্ ফিঞ্চ-খাবার -নর ও মাদা পাখি চেনার উপায়-প্রজনন

অস্ট্রেলিয়ার ফিঞ্চ জাতীয় পাখিগুলির মধ্যে লং টেলড্ ফিঞ্চ পৃথিবীতে বেশ জনপ্রিয় ।এই পাখির দেহের চারপাশে হাল্কা বাদামী রঙ এবং লাল রঙের পায়ের ঠিক ওপরের দিকে চওড়া কালো সাদা দাগ থাকে । এই কালো দাগ গুলি পাখিটিকে খুব আকর্ষণীয় করে তোলে।  একটি সুন্দর লম্বা লেজ থাকার জন্য এর নাম লং টেলড্ ফিঞ্চ অর্থাৎ লম্বা লেজযুক্ত ফিঞ্চ পাখি ।




খাবার :  অন্যান্য ফিঞ্চ জাতীয় পাখির মতই এদের প্রোটিন , ভিটামিন , মিনারেলস জাতীয় খাবার দেওয়া উচিত । পাখিকে কাঁকর যুক্ত দানার সাথে অল্প পরিমাণে তৈলাক্ত জাতীয় খাদ্য শস্য যেমন ব্ল্যাক সীড , সানফ্লাওয়ার সীড মিশিয়ে দিতে হবে । এছাড়া প্রতি সপ্তাহে ভাতের সাথে ডিম সিদ্ধ ও সামান্য কুচোন সবুজ শান, বরবটি ইত্যাদি পাখিকে দিলে ভাল ফল পাওয়া যাবে ।সুস্থ ও সবল পাখির জন্য পাখিকে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার যেমন সমুদ্রের ফেনার টুকরো এবং পাখি যাতে সহজে হজম করতে পারে তার জন্য কাঠকয়লা রেখে দেওয়া অবশ্যই উচিত এছাড়া পাখিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পাত্রে জল দিয়ে রাখতে হবে এবং সেই পাত্রের জলে কোন জীবাণুর সংক্রমক না হয় তার দিকে লক্ষ রাখা এবং পাখির খাঁচায় অবশ্যই গ্রীট রাখতে হবে ।

নর ও মাদা পাখি চেনার উপায় লং টেলড্ ফিঞ্চ জাতীয় পাখির ক্ষেত্রে নর ও মাদা পাখি চেনা খুবই কষ্টকর । অভিজ্ঞ ব্যাক্তির মত অনুসারে ঠোঁট ও চোখের কালো দাগ দেখে বুঝতে পারেন কোনটা নর, কোনটা মাদা । ১। নর পাখির কালো দাগ মাদা পাখির থেকে বড় হয় । ২। বাচ্চা পাখির ঠোঁটের নিচে বুকের ওপর হাল্কা কালো রঙের গোলাকার দাগ ছাড়া সারা শরীরই ধূসর রঙের হয় এবং ঠোঁটের রঙ কালো হয়। ৬ মাস বয়সের পর এদের রঙ সম্পূর্ণ পরিণত হয় ।  



প্রজনন অস্ট্রেলিয়ার স্টার ফিঞ্চ পাখির মত লং টেলড্ ফিঞ্চ পাখির প্রজনন খুব সহজ নয় । তবে একটু অভিজ্ঞতা থাকলে এদের থেকে ডিম ও বাচ্চা পাওয়া যেতে পারে । তবে একটা কথ অবশ্যই মনে রাখতে হবে ৬ মাস বয়সে কখনই পাখিকে প্রজনন করান উচিত নয় । প্রজনন করানোর আগে পাখির যে সমস্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য দরকার তা পাখিকে  দিতে হবে । ডিম পাড়ার জন্য বাঁশের তৈরী ঝুড়িতে ঘাস বা নারকেলের ছোবড়ার টুকরো দিয়ে তৈরী বাসায় এই পাখি ৫ থেকে ৬ টি ডিম পাড়ে । আর এই ডিমগুলিতে অধিকাংশ সময় ভালো করে তা দেয় না ফলে বাচ্চার যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য খাঁচায় লং টেলড্ ফিঞ্চ পাখির সাথে কিছু বেঙ্গলিস পাখি রাখা হয় প্রজনন করানোর জন্য । পাখি ডিম পাড়া হয়ে গেলে ডিমগুলি বেঙ্গলিস পাখি যেখানে তা দিচ্ছে সেখানে রেখে দিয়ে ঝুড়ি সরিয়ে নিতে হবে । এরপর ১২ থেকে ১৩ দিনের মাথায় ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয় । ২৩ থেকে ২৪ দিন পরে বাচ্চা বাসা থেকে বেড়িয়ে আসে । এই লং টেলড্ ফিঞ্চ পাখি প্রায় ৬ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত বাঁচে ।

Friday 6 April 2018

পাখির খাদ্য ও তার গুনাগুন - প্রোটিন - ভিটামিন - মিনারেলস - পটাশিয়াম-আয়োডিন

আমাদের দেশে বিদেশী খাঁচার পাখি পোষা অনেকদিন ধরেই চলে আসছে এবং বর্তমানে তা আর ও বিস্তার লাভ করেছে.আমরা কেবল সখের জন্য পাখি পুষছি তা নয় ব্যবসায়িক দিক থেকেও এই পাখি পোষা আগের থেকে অনেক বেড়ে গেছে .তবে কোনটাতেই কোনো অসুবিধা নেই৷মনে ইচ্ছে থাকলে সব কিছুই করা সম্ভব. আমরা পাখিদের দেখে সুন্দর্য্য দেখে অভিভূত হই.ডাক শুনি এবং সর্বপরি তাদের সুস্থ রাখার চেষ্টা করি .যাতে তারা সুস্থ ও সবলভাবে বেঁচে থাকবে ,জন্ম দেবে আর ও সুন্দর রঙিন সন্তানদের  .কিন্ত আমাদের দেশে বৈজ্ঞানীক প্রথায় পাখি  পোষা ঠিকমতো এখনও শুরু হইনি .তাই পক্ষীপালক বন্ধুরা  আসুন একটু অন্যভাবে ভাবি জানি তাদের খাবার সম্বন্ধে যারা শুধুমাত্র আমাদের ওপর নির্ভরশীল.তাই মানুষের শরীরের ওপর ভিত্তি করে নয় কারণ বাহ্যিকও আভ্যন্তরীণ দিক থেকে আলাদা .তাই সুস্থ ও চনমনে পাখির জন্য যে যে জিনিসগুলি লক্ষ্য রাখা উচিত তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পাখির খাদ্য ও তার গুনাগুন .

                           সাধারনত পাখিকে খাদ্য হিসাবে ঘাসের দানা ,তৈলবীজ,কুসুমদানা,সমুদ্রের ফেনা ও পরিস্কার জল .শুধু তাই নয় পাখির শস্যদানার সঙ্গে সঙ্গে ভাত ,চিড়ে,বিস্কুট ,মুগ,ভুট্টা এবং ভেজানো ছোলা .এছাড়া পাখির ও তার বাচ্চাদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন সুষম খাবার (balance food),যা তারা সহজেই হজম করে শরীরে কাজে লাগাতে পারে .যেমন অঙ্কুরিত ছোলা যার মধ্যে,প্রোটিন ভিটামিন,মিনারেলস ,এনজাইম (হজোমকারক রস )এমন সুন্দর ভাগে থাকে যা পাখিদের যে কেবল খেতে ভালো লাগে তা নয় ,শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ জীবানুর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে .এছাড়া আবার অনেকে পাখিকে কমলালেবু খেতে দেবার জন্য বলেন ,কিন্তু পাখির শরীরে ভিটামিন C এর পরিমান থাকায় বাইরে থেকে দেওয়া প্রয়াজন হয় না ,বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ধরনের টকফল (Citric food) পাখির হজমের গন্ডগোলের কারণ হয়ে দাঁড়ায় .সুতরাং এই ধরনের খাদ্য আমাদের দেওয়া উচিত নয় .তাই পক্ষীপালক বন্ধুরা শুধুমাত্র পাখির খাদ্য সম্পর্কে জানলে হবেনা ,তার সাথে সাথে পাখিদের দেহের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজনপ্রোটিন ,কার্বোহাইড্রেটএবং ফ্যাট তার সঙ্গে কিছু ভিটামিন ও অল্প মিনারেলস.এছাড়া  কোন খাদ্যের কি কি গুন,কি কি পাখির শরীরে  কাজে লাগে , ও ঠিক কি থেকে আমরা  পেতে পারি .
       প্রোটিন:শরীরে পালকের বৃদ্ধি ও রং ঠিক রাখতে .যেমন :জব ,ডিম ,গম ও অয়েলসীড ইত্যাদি থেকে পাওয়া যায়.

ভিটামিন বি কমপ্লেক্সটা :স্নায়ু  লিভার ভালো রাখতে ও রক্ত শুন্যতা রোধে এবং প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে .যেমন :সরষেদানা, গাজর ,বীনস,এবং ডিমে পাওয়া যায়.

ভিটামিন এ:শারীরিক বৃদ্ধিতে ডিম পাড়তে ও রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে .যেমন :গাজর,পালংশাক,ডিম ও ভুট্টায় পাওয়া যায়.

ভিটামিন ডি৩:ক্যালসিয়াম ওফসফরাসকে ঠিকমত কাজে লাগাতে ,হাড়ের ও প্রজনন বৃদ্ধি তে সাহায্য করে.যেমন: ডিমের কুসুম .

ভিটামিন ইভি:পাখির প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে এটি কুসুমদানা ও শস্য দানায় পাওয়া যায়.
 এছাড়া ফলিকঅ্যাসিড ,বীয়টিন,বি১২ ,কোলিন,এবং নায়াসিন এই প্রোটিন ও ভিটামিন গুলি ডিম, বীনস,সর্ষেদানা.যব ওগম এপাওয়া যায়.এগুলো পাখির প্রজনন  বৃদ্ধিতে সাহায্য করে .

মিনারেলস : (১) ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস :ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ও হাড়ের বৃদ্ধি,প্রজননে সাহায্য করে.যেমন:সমুদ্রের ফেনা ,এবং ডিমের খোলায়,অয়েলসিড এ পাওয়া যাই.

 (২) পটাশিয়াম :পেশির কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে .অয়েলসিড এ পাওয়া যায়.

(৩)আয়োডিন :নুন জাতীয় খাদ্যে আয়োডিনের পরিমান বেশি থাকে,এটি পাখির সাধারণভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে. 

(৪) কপারও ফেরাস  :কপারও ফেরাস  লোহিতরক্ত কনিকা বানাতে সাহায্য করে ওঅক্সিজেনএর পরিমাণ ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকাপালন করে. 


             পক্ষীপালক বন্ধুরা ,এবার মনে হয় পাখিদের খাবার দেওয়া অনেক সহজ হয়ে গেল.তাই নয় কি?ওপরের তালিকা গুলি একটু মন দিয়ে পড়ে নিজেই ঠিক করে নিতে পারা যাবে পাখিকে কি কখন কিভাবে এবং কোন খাবার খেতে দেওয়া দরকার .তাহলেই আমরা সুস্থ ,ওসবলভাবে বেঁচে থাকবে এবং জন্ম দেবে  চনমনে সুন্দর আর ও রঙিন সন্তানদের. 

The important thing for pet birds

Many people in our country see the birds of a foreign cage awake. I think we can keep these cages in the house at the same time, and we c...