Friday 6 April 2018

পাখির খাদ্য ও তার গুনাগুন - প্রোটিন - ভিটামিন - মিনারেলস - পটাশিয়াম-আয়োডিন

আমাদের দেশে বিদেশী খাঁচার পাখি পোষা অনেকদিন ধরেই চলে আসছে এবং বর্তমানে তা আর ও বিস্তার লাভ করেছে.আমরা কেবল সখের জন্য পাখি পুষছি তা নয় ব্যবসায়িক দিক থেকেও এই পাখি পোষা আগের থেকে অনেক বেড়ে গেছে .তবে কোনটাতেই কোনো অসুবিধা নেই৷মনে ইচ্ছে থাকলে সব কিছুই করা সম্ভব. আমরা পাখিদের দেখে সুন্দর্য্য দেখে অভিভূত হই.ডাক শুনি এবং সর্বপরি তাদের সুস্থ রাখার চেষ্টা করি .যাতে তারা সুস্থ ও সবলভাবে বেঁচে থাকবে ,জন্ম দেবে আর ও সুন্দর রঙিন সন্তানদের  .কিন্ত আমাদের দেশে বৈজ্ঞানীক প্রথায় পাখি  পোষা ঠিকমতো এখনও শুরু হইনি .তাই পক্ষীপালক বন্ধুরা  আসুন একটু অন্যভাবে ভাবি জানি তাদের খাবার সম্বন্ধে যারা শুধুমাত্র আমাদের ওপর নির্ভরশীল.তাই মানুষের শরীরের ওপর ভিত্তি করে নয় কারণ বাহ্যিকও আভ্যন্তরীণ দিক থেকে আলাদা .তাই সুস্থ ও চনমনে পাখির জন্য যে যে জিনিসগুলি লক্ষ্য রাখা উচিত তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পাখির খাদ্য ও তার গুনাগুন .

                           সাধারনত পাখিকে খাদ্য হিসাবে ঘাসের দানা ,তৈলবীজ,কুসুমদানা,সমুদ্রের ফেনা ও পরিস্কার জল .শুধু তাই নয় পাখির শস্যদানার সঙ্গে সঙ্গে ভাত ,চিড়ে,বিস্কুট ,মুগ,ভুট্টা এবং ভেজানো ছোলা .এছাড়া পাখির ও তার বাচ্চাদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন সুষম খাবার (balance food),যা তারা সহজেই হজম করে শরীরে কাজে লাগাতে পারে .যেমন অঙ্কুরিত ছোলা যার মধ্যে,প্রোটিন ভিটামিন,মিনারেলস ,এনজাইম (হজোমকারক রস )এমন সুন্দর ভাগে থাকে যা পাখিদের যে কেবল খেতে ভালো লাগে তা নয় ,শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ জীবানুর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে .এছাড়া আবার অনেকে পাখিকে কমলালেবু খেতে দেবার জন্য বলেন ,কিন্তু পাখির শরীরে ভিটামিন C এর পরিমান থাকায় বাইরে থেকে দেওয়া প্রয়াজন হয় না ,বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ধরনের টকফল (Citric food) পাখির হজমের গন্ডগোলের কারণ হয়ে দাঁড়ায় .সুতরাং এই ধরনের খাদ্য আমাদের দেওয়া উচিত নয় .তাই পক্ষীপালক বন্ধুরা শুধুমাত্র পাখির খাদ্য সম্পর্কে জানলে হবেনা ,তার সাথে সাথে পাখিদের দেহের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজনপ্রোটিন ,কার্বোহাইড্রেটএবং ফ্যাট তার সঙ্গে কিছু ভিটামিন ও অল্প মিনারেলস.এছাড়া  কোন খাদ্যের কি কি গুন,কি কি পাখির শরীরে  কাজে লাগে , ও ঠিক কি থেকে আমরা  পেতে পারি .
       প্রোটিন:শরীরে পালকের বৃদ্ধি ও রং ঠিক রাখতে .যেমন :জব ,ডিম ,গম ও অয়েলসীড ইত্যাদি থেকে পাওয়া যায়.

ভিটামিন বি কমপ্লেক্সটা :স্নায়ু  লিভার ভালো রাখতে ও রক্ত শুন্যতা রোধে এবং প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে .যেমন :সরষেদানা, গাজর ,বীনস,এবং ডিমে পাওয়া যায়.

ভিটামিন এ:শারীরিক বৃদ্ধিতে ডিম পাড়তে ও রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে .যেমন :গাজর,পালংশাক,ডিম ও ভুট্টায় পাওয়া যায়.

ভিটামিন ডি৩:ক্যালসিয়াম ওফসফরাসকে ঠিকমত কাজে লাগাতে ,হাড়ের ও প্রজনন বৃদ্ধি তে সাহায্য করে.যেমন: ডিমের কুসুম .

ভিটামিন ইভি:পাখির প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে এটি কুসুমদানা ও শস্য দানায় পাওয়া যায়.
 এছাড়া ফলিকঅ্যাসিড ,বীয়টিন,বি১২ ,কোলিন,এবং নায়াসিন এই প্রোটিন ও ভিটামিন গুলি ডিম, বীনস,সর্ষেদানা.যব ওগম এপাওয়া যায়.এগুলো পাখির প্রজনন  বৃদ্ধিতে সাহায্য করে .

মিনারেলস : (১) ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস :ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ও হাড়ের বৃদ্ধি,প্রজননে সাহায্য করে.যেমন:সমুদ্রের ফেনা ,এবং ডিমের খোলায়,অয়েলসিড এ পাওয়া যাই.

 (২) পটাশিয়াম :পেশির কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে .অয়েলসিড এ পাওয়া যায়.

(৩)আয়োডিন :নুন জাতীয় খাদ্যে আয়োডিনের পরিমান বেশি থাকে,এটি পাখির সাধারণভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে. 

(৪) কপারও ফেরাস  :কপারও ফেরাস  লোহিতরক্ত কনিকা বানাতে সাহায্য করে ওঅক্সিজেনএর পরিমাণ ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকাপালন করে. 


             পক্ষীপালক বন্ধুরা ,এবার মনে হয় পাখিদের খাবার দেওয়া অনেক সহজ হয়ে গেল.তাই নয় কি?ওপরের তালিকা গুলি একটু মন দিয়ে পড়ে নিজেই ঠিক করে নিতে পারা যাবে পাখিকে কি কখন কিভাবে এবং কোন খাবার খেতে দেওয়া দরকার .তাহলেই আমরা সুস্থ ,ওসবলভাবে বেঁচে থাকবে এবং জন্ম দেবে  চনমনে সুন্দর আর ও রঙিন সন্তানদের. 

No comments:

Post a Comment

The important thing for pet birds

Many people in our country see the birds of a foreign cage awake. I think we can keep these cages in the house at the same time, and we c...