খাবার : এই জাতীয় পাখিকে সাধারণতঃ কাঁকর জাতীয় দানার সাথে কিছু অল্প পরিমাণে তৈলাক্ত জাতীয় খাদ্য যেমন সানফ্লাওয়ার সীড , কুসুম দানা , ও ব্ল্যাক সীড মিশিয়ে দেওয়া উচিত । এছাড়া অঙ্কুরিত শস্যদানা যেমন মুগ , গম , ভেজানো ছোলা প্রভৃতি খাবার পাখিকে দিলে পাখির শরীর ও বাচ্চার স্বাস্থ্য ভাল থাকবে । আমার মতে মাঝে মাঝে বিনস , বরবটি এবং বিভিন্ন ধরণের সবুজ শাকসবজি দিতে হবে যাতে পাখিরা আনন্দে সেই খাবার দেওয়া উচিত । বদ্রিকা পাখির মত ককাটেল পাখিকেও সারা বছর ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার যেমন সমুদ্রের ফেনা , সন্দধব নুন , এবং সহজে যাতে খাবার হজম করতে পারে তারজন্য সামান্য পরিমাণে কাঠ কয়লা দেওয়া উচিত ।
নর ও মাদা পাখি চেনার উপায় : রং – এর বিভিন্নতা অনুসারে নর ও মাদা পাখিকে চেনা যায় । যেমন – ১। বাচ্চা ককাটেল কে দেখতে রং এর বিভিন্নতা অনুসারে কখন নর – মাদার পাখির মত হয় , তবে সাইজে এরা অনেক ছোট হয় ঠোঁটের রং অনেকটা গোলাপি এবং লেজ ছোট থাকে ।
২। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এদের রং পাল্টাতে থাকে । মোটামুটি ৮-৯ মাস গায়ের রং ধূসর এবং নর পাখি পূর্ণবয়স্ক হলে মাথায় হলুদ রং-এর জন্য খুব সহজেই চেনা যায় । কিন্তু মাদা পাখির এরকম রং থাকে না ।
৩। ফন রং-এর পাখির ক্ষেত্রে একই রকম ভাবে নর মাদা চেনা যায় ।
৪। পার্ল ককাটেল এর গায়ে গোল গোল কালো রং-এর দাগ নর পাখির মত দেখতে কিন্তু মাদা পাখির গায়ে গোল গোল ছাপ দেখতে পাওয়া যায় ।
৫। সব রং-এর ককটেল-এর ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় যে সব মাদা পাখির লেজের দুই প্রান্তের পালক একটু হলদেটে হয় যা নর পাখির ক্ষেত্রে তা হয় না ।
৬। সাদা রং-এর ককটেল পাখির ক্ষেত্রে নর মাদা চেনা কষ্টকর হলেও গালের দুপাশে যে মরচে রং দেখা যায় তা নর পাখির তুলনায় মাদা পাখির ক্ষেত্রে অনেকটা গাঢ় হয় ।
৭। আমার অভিজ্ঞতায় আরও একটি অন্যতম উপায় হল পাখির ৬ মাসের বেশী বয়স হয়ে গেলে ককটেল পাখির সামনে যদি শিশ দেওয়া হয় তাহলে নর পাখি শিশ দিয়ে ডেকে ওঠে কিন্তু মাদা পাখি তা করে না ।
প্রজনন : ককাটেল পাখি Aviary অর্থাৎ পক্ষীশালা বা বড় খাঁচায় একসঙ্গে অনেকগুলি জোড়া রেখে প্রজনন করানো হয় । এই পাখি ১০-১১ মাস বয়সেই পরিণত বা Adult পাখির মত আচরণ করলেও এদের প্রজননের সবথেকে ভাল সময় হল দেড় বছর বা ১৮ মাস । এই ১৮ মাস বয়স হলে বড় চ্যাটালো হাঁড়ি যার ব্যাস হল ১২ইঞ্চি। এই ব্যাসের হাঁড়ি ককটেল পাখির খাঁচায় রেখে দেওয়া উচিত এবং হাঁড়ির গায়ে আড়াই থেকে তিন ইঞ্চি ব্যাসের ফুটো করে দিতে হয় তারপর এই হাঁড়িটির মাথায় বড় মাটির সরা দিয়ে চাপা দিতে হবে । এই ফুটো দিয়ে পাখির যখন ইচ্ছা প্রবেশ করে এবং যখন ইচ্ছা বাইরে বেরিয়ে আসে । হাঁড়ির ভিতর বাসা করার জন্য কোন উপকরণ লাগে না । মাদা পাখি বদ্রিকা মাদা পাখির মত নিজের পালক মেলে দিয়ে ডিম পাড়ে । বছরে এরা তিনবার ডিম পাড়ে এবং একদিন অন্তর একসঙ্গে ৫-৬ টা ডিম পাড়তে পারে । ১৯-২১ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোয় এবং মাদা পাখি এদের খাওয়ায় । এরপর ৩০-৩৫ দিনের পরে বাচ্চা হাঁড়ি থেকে বেরিয়ে এলে ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত খাওয়ানোর পর এদের আলাদা করতে হয়। অনেকের মতে ককাটেল পাখিকে ১৪-১৫ বছর প্রজনন করতে দেখা গেছে এবং এরা প্রায় ২০ বছর অবধি বাঁচে ।
আমার ককাটেল নিজের পাখা লেজ থেকে পালক তুলে পাতলা করে ফেলছে। পালক গজাচ্ছে না!
ReplyDeleteগজাবে,,,আঘাত যেন না লাগে খেয়াল রাখুন ও পুষ্টিকর খাবার দিন
Deleteইন্ডিয়া থেকে ট্রেনে করে বাংলাদেশে
ReplyDeleteকি ককাটেল পাখি আনাযাবে এবং
এর জন্য কি কোন প্রকার হয়রানির
স্বীকার হতে হবে?
ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কোন ধরনের বন্য/পোষা পাখি আনা যাবে না। আইনে নিষিদ্ধ থাকায় হয়রানির স্বীকার হতে পারেন।
Deleteককটেল পাখি ডিম পাড়ে কোন মাসে
ReplyDeleteসারাবছর ই
Deleteভালো পাখি
ReplyDeleteবাড়িতে এক জোরা কোকাটেল পুষলে কী তারা ডিম পারবে বছর খানেক পর?
ReplyDelete