পক্ষীশালা এবং পাখির ঘর এই নিয়ে অনেকের মধ্যেই দ্বিমত থাকার জন্য এই শব্দ দুটির ভুল প্রয়োগ দেখা যায়।Aviary শব্দের অর্থ হল পক্ষীশালা ,যেখানে পাখি রাখা হয়।এখানেই ভুল বোঝা শুরু।“পাখি রাখা হয়” এর আসল মানে এই খাঁচা যার নুন্যতম মাপ ৯ ফুট লম্বা ও ৩ ফুট চওড়া এবং উচ্চতা ৭ ফুট । যেখানে এক বা একের অধিক জোড়া পাখি থাকে একসঙ্গে এবং প্রকৃতির সঙ্গে তাদের সোজাসুজি যোগ (Direct contact) থাকে। এই পক্ষীশালায় ককটেল,লাভবার্ড, বদরী ইত্যাদি পাখি রাখা উচিত।এই পক্ষীশালার ভিতরে অ বাইরে অনেক গাছ লাগিয়ে দিতে হয় যাতে এই ছোট পাখি বেশী হাওয়া এবং রোদের অস্বস্তিকরের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারে। ফিঞ্চ জাতীয় পাখি আকারে ছোট হয় বলে বেশী হাওয়া তার অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যারা শখে পাখি পোষেন তাদের পক্ষে Aviary অর্থাৎ পক্ষীশালা সবচেয়ে ভাল। বড় জায়গায় পাখিদের ওড়া এবং খেলা দেখে পাখি পোষার সখ পূর্ণ হবে। তবে যারা ব্যবসার জন্য পাখি পোষেন তাদের ক্ষেত্রে সব পাখির জন্য সুবিধা জনক হবে না। কারণ বদরী, জাভা ইত্যাদি পাখি একসঙ্গে অনেকগুলো জোড়া প্রজনন করতে পারে যাকে Colony breed বলে। কিন্তু অন্যান্য পাখি যেমন লাভবার্ড,ককটেল, ফিঞ্চ ইত্যাদি colony breed এর পক্ষে আদর্শ নয়।তাদের প্রত্যেক জোড়াকে আলাদা খাঁচায় রেখে প্রজনন করালে ব্যবসায়িক দিক থেকে সুবিধা পাওয়া যায়।
Birdroom বা পাখির ঘর বলতে বোঝায় একটি সাধারণ ঘর যার ভেতরে খাঁচায় পাখি রাখা হয় ।সেই ছোট খাঁচা হোক বা বড় খাঁচাই হোক এখানে প্রকৃতির সঙ্গে direct contact এ থাকে না।ফলে এরা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে এরা অতি সহজেই রক্ষা পায়।“ পাখির ঘর”এমন হওয়া দরকার যাতে সবসময়ে ভেতরের দূষিত হাওয়া বেরিয়ে গিয়ে বাইরের পরিষ্কার হাওয়া প্রবেশ করতে পারে।সূর্যের আলো প্রবেশ না করলে তার জন্য বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবহার করা হয়। অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে পাখিরা সূর্যের আলো থেকে যা যা পায় তা কি করে পাবে । অবাক হওয়ার কোন কারণ নেই, কেননা নানা ধরণের খাবার ও ওষুধ প্রয়োগ করে পাখিদের এই সমস্ত অভাব বেশীর ভাগটাই পূরণ করা জায়।Birdroom এর একটি সুবিধা হল যে বাইরের থেকে আসা রোগ জীবাণুর হাত থেকে অতি সহজেই পাখিদের রক্ষা করা জায়। যা aviary তে রাখা পাখিদের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না ।
Birdroom এর আর একটি ধরণ হল বন্ধ পাখির ঘর (closed birdroom)যা প্রকৃতির থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন সম্পূর্ণ একটা ঘর যেখানে প্রকৃতির আলো হাওয়া কোনোকিছুই প্রবেশ করতে পারে না। এমন করে আগেকার দিনে বন্দিদের সাজা দেবার জন্য রাখা হত। বৈজ্ঞানিক আধুনিকি করনের সাহায্যে এরকম ঘরেও পাখি রাখা যায় শুধু তাই নয় সুন্দর ভাবে প্রজননও হয়। বন্ধ ঘর বলতে এই ঘরের অশুদ্ধ বাতাস বেরিয়ে যাবার ব্যবস্থা করা হয় যাতে শুদ্ধ বাতাস অর্থাৎ অক্সিজেন O2 সমৃদ্ধ বাতাস যোগান দেওয়ার জন্য Oxigeneter নামে একটি যন্ত্র বসানো থাকে ।আর্দ্রতা যে কোন প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন তাই আর্দ্রতা রাখার জন্য Hunidifire নামক একটি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বন্ধ ঘরে কোন প্রকারে যাতে জীবাণুর আবির্ভাব ঘটে সে কারণে lonizer নামে একটি যন্ত্র বসাতে হয় যা জীবাণু প্রতিরোধে এবং ধুলো মাটিতে পরে যায় তার ব্যবস্থা করে। অবশ্যই ঘরে স্বাভাবিক দিনের মত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে ।এভাবেই বন্ধ ঘরে পাখি পোষা যায় ।এই প্রথায় পাখি পোষা সাধারণের কাছে খরচ সাপেক্ষ সেই কারণে আমাদের দেশে এই প্রথায় পাখি পোষা সম্ভব নয়। সাধারনতঃ দ্বিতীয় পদ্ধতিতে আমাদের দেশে পাখি পোষা হয়ে থাকে। যেমন অনেকের বাড়ীতে ছাদে ব্যবহার না করা ঘর পড়ে থাকে।সেই ঘরের জানালা এবং দরজায় জাল লাগিয়ে birdroom বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে । তা না হলে গরমকালে খুব গরম হয়ে যাবে। ঘরের জানালায় যে জাল লাগানো হবে তাতে একটা ছোট দরজা করে নেওয়া প্রয়োজন , কারণ প্রয়োজন হলে সেখান থেকে জানালা বন্ধ করে দেওয়া যাবে । শীত কালের ঠাণ্ডা হাওয়া এবং যে কোন সময়ে বেশী হাওয়া বা ঝড় পাখির অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে না । অনেকে আবার বাড়ীর একতলাতে পাখি পুষতে পারেন ।কেননা সেখানে সূর্যের আলো সরাসরি এসে পরে না , ফলে সে জায়গায় পাখি প্রজননও করতে পারবে অতি সহজেই । এই ঘরে flurocent tube বা পাওয়ার শেভর লাগিয়ে দিনের আলোর মতো ব্যবস্থা করলে বদরী, জাভা , ফিঞ্চ, ককটেল,লাভবার্ড ইত্যাদি বেশ ভালোভাবেই প্রজনন করতে পারবে ।
পাখির ঘরের পর এবার খাঁচা সাজানো যেতে পারে । যে বা যারা যে ধরণের পাখি পুষতে চান তার মাপ অনুযায়ী খাঁচা বানিয়ে ঘরের মধ্যে সাজানো যেতে পারে। খাঁচাটি ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি উঁচু লোহা বা কাঠের কাঠামোর ওপর রাখা উচিত ।যে ব্যক্তি পাখিকে খেতে দেবেন তার উচ্চতা অনুযায়ী খাঁচার উচ্চতা করা উচিত। কেননা পাখিকে খেতে দিতে বা খাঁচাটি পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে। এছাড়া দুটো সারিতে কেবল খাঁচা সাজানো থাকলে দুই সারির মাঝখানের ব্যবধানে নুন্যতম ৩ ফুট হলে ভাল হবে। ঘরের জানালা বা দরজার সামনে খাঁচা রাখা উচিত নয় কারণ জানালা বা দরজা খোলা বা বন্ধ করার সময় পাখি ভয় পেয়ে যেতে পারে । তাই পাখিটি যাতে ভয় না পায় সেইজন্য সঠিক স্থানে রাখলে পাখি ভয় পাবে না ।
Thanks for sharing this post. I am very interested in this topic. The vet's receptionists ought to then have a chance to go to together with your canine and this must be adopted by the proprietor rewarding them for good conduct. Canine house owners also needs to carry out mock exams at residence with their canine by checking ears, toes, tails, enamel, and touching their canine with a metallic object, just like those used on the vet clinic. Veterinary Clinic Hampton
ReplyDeleteDogs are the epitome of unconditional love. https://hf-dog.com/bravecto-vs-nexgard/
ReplyDelete