Tuesday 3 April 2018

সাপের কামড় ও চিকিৎসা - বিষধর সাপ - স্নেক রেসকিউ টিম ফোন নম্বর

প্রায় সকলের মধ্যেই একটা ধারণা আছে যে, বিষধর সাপ এর ক্ষেত্রে নাকি এক ছোবলেই ছবি হয়ে যায়। আর্থাৎ চিকিৎসা র কোনো সময় পাওয়া যায় না। ধারনাটা কিন্তু একদমই ভুল ।
আমাদের পরিবেশে থাকা সাপগুলোর মধ্যে কালাচ, গোখরো, কেউটে, চন্দ্রবোড়া ও শাখামুটি এই পাঁচটি সাপ বিষধর। এদের মধ্যে শাখামুটি লুপ্তপ্রায় প্রজাতির এবং এতটাই শান্ত স্বভাবের যে এর কামড়ে কেউ মারা গেছে তার কোনো তথ্য নেই। বেশি সমস্যা হয় কালাচ, গোখরো ও চন্দ্রবোড়া র দ্বারা।
* কালাচ :- অতি রহস‍্যময় সাপ। এর বিষ স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত করে। এই সাপ সাধারণত ইটের পাঁজা, উইয়ের ঢিপি, ইদুরের গর্ত, পরিত‍্যাক্ত বাড়ি ইত্যাদি জায়গায় পাওয়া যায়। এর বিষ দাত অত্যন্ত ছোটো। এরা অনেক সময় বাছানা বা বালিশ- কাঁথার মধ্যে বা গোটানো মাদুরের মধ্যে টিকটিকি ও ছোট পোকা মাকড় শিকার করতে ঢুকে পরে। কালাচ কামড়ালে কামড়ের স্থানে কোনো ব‍্যথা বা জ্বালা হয় না । দাঁতের চিহ্ন খুজে পাওয়া যায় না। তবে পেটে আসহ‍্য ব‍্যাথা বা কোমড়ে বা গাটে গাটে বা গলায় ব‍্যথা পরিলক্ষিত হতে পারে। তবে কি ভাবে বোঝা যাবে ? কালাচ কামড়ালে যেটা মূল লক্ষন সেটা হলো " শিবনেত্র " অর্থাৎ চোখের পাতা পড়ে আসা। রুগী ঠিক মতো চোখ খুলে তাকাতে পারবে না ও বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট হবে ।
গোখরো ও কেউটে :- এই দুটি সাপ একই প্রজাতির। ফনাধর , নার্ভবিষযুক্ত সাপ। এদের বিষও স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত করে। এরা সাধারণত চাষের জমি, পুরানো বাড়ি, ইদুরের গর্ত, ধানের গোলা এবং জলাশয়ের আশেপাশে (কেউটে) পাওয়া যায়। কামড়ালে রুগী খুব সহজেই বুঝতে পারে কারণ কামড়ানোর স্থানে দাতের চিহ্ন পাওয়া যায় তার সঙ্গে খুব ব‍্যথা হয় সঙ্গে ফুলতে থাকে । রুগী যন্ত্রনায় ছটফট করবে। নাকি সুরে কথা বলবে। ৩০ মিনিটের মধ্যে রুগী ঝিমিয়ে পড়বে। এর ক্ষেত্রেও শিবনেত্র দেখা যায়।
চন্দ্রবোড়া :- মারাত্মক একটি সাপ। বিষ রক্ত সংবহনতন্ত্রে আঘাত করে। তবে কিছুটা স্নায়ুবিক ও । রক্তের জালিকা গুলোকে নষ্ট করে দেয়। কামড়ানোর পর কামড়ের স্থানে দাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। রুগী জ্বালা-যন্ত্রনায় ছটফট করে। কামড়ের জায়গার রং চটে যায়, আশেপাশে ফোসকা পরে যেতে পারে । শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্ত ক্ষরন হয়। যেমন, চোখ, দাতের মাড়ি, কোনো ক্ষত স্থান, বমির সঙ্গে এমনকি মূত্রের সঙ্গে। শিবনেত্র ও দেখা দিতে পারে। বাসস্থান প্রায় একই রকম।
চিকিৎসা :- প্রথমেই জেনে রাখুন কোনো সাপের কামড়েই সাথে সাথে মারা যায় না। যথেষ্ট ময় পাওয়া যায় হাসপাতালে পৌঁছে চিকিৎসা করবার জন্য। সাপের কামড়ের ১০০ মিনিটের মধ্যে যদি ১০০ ml AVS রুগীর শরীরের প্রবেশ করানো যায় তাহলে ১০০% নিশ্চিত করে বলা যায় যে রুগী ১০০% সুস্থ হবে। শুধু কোনো রকম দেরি না করে কামড়ের সঙ্গে সঙ্গেই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। মনে রাখবেন সাপে কামড়ের চিকিৎসা গ্রামের একটি ছোট স্বাস্থকেন্দ্রেই যেখানে ডাক্তার বাবু দের রাত্রি বেলা পাওয়া যায় , সেখানেই ভালো ভাবে করা সম্ভব। এর জন্য কোনো সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল দরকার নেই। কাছের হাসপাতালেই নিয়ে যাবেন। কারণ প্রতিটি মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ (১০০মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ) । আর একটা কথা , যদি রুগীকে হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে দরকার অনুযায়ী প্রেরন করতে হয় তাহলে অবশ্যই জেনে নেবেন যে , প্রথম ১০০ml AVS দেওয়া হয়েছে কিনা । কারণ এটা সরকারি নির্দেশ যে ১০০ ml AVS না দিয়ে কোনো রুগীকে অন‍্যত্র প্ররন করা যাবে না তা সে যতই সারিয়াস হোক না কেন।
কামড়ানোর পর সাপ মারতে বা খুজতে গিয়ে বা কোনো রকম রাসায়নিকের ব‍্যবহার করতে গিয়ে বা গরম কিছু খাওয়াতে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। বাধন দেওয়ার দরকার নেই, এতে কোনো লাভ নেই, উল্টে ক্ষতি হতে পারে বিশেষ করে চন্দ্রবোড়া কামড়ালে।
তাই বলছি আতঙ্কিত হবেন না , রুগীকে তাড়াতাড়ি বাইক বা অন্য কোনো গাড়ি করে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান । রুগী সুস্থতা লাভ করবেই।
------- ধন্যবাদ
" Snake Rescue Team Gabardanga"
Ph nos - 7872572209/9732646893/7908821937/
7872572209

No comments:

Post a Comment

The important thing for pet birds

Many people in our country see the birds of a foreign cage awake. I think we can keep these cages in the house at the same time, and we c...